Month: April 2022
বেসিসের পুরস্কার পেলেন ১০ নারী ও ৩ প্রতিষ্ঠান
April 11, 2022
ব্যক্তিগত জীবনে অসামান্য সাফল্য ও নারীদের কর্মক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন গ্রাফিক পিপল ও অ্যাডকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী। বেসিসের পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ পুলিশের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আমেনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, ইউনাইটেড হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক রওশন আরা খানম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়রা আজম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা।
এ ছাড়া বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নারী কর্মীর সংখ্যার হিসাবে বিপিও কোম্পানি বিভাগে জেনেক্স ইনফোসিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিজেআইটি এবং পুরুষ ও নারী অনুপাতে সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ বিভাগে ডিনেট এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে লুনা শামসুদ্দোহাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আলোচনায় তিনি বলেন, নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। নারীদের জন্য কাজ করতে হবে। তা হলেই নারীরা এগিয়ে যাবে।
আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, নারীকে চলার পথে অনেক বাঁধা পার হতে হয়। নারী উন্নয়নে আমরা এগিয়েছি অনেক দূর। তৈরি পোশাকশিল্পে এখন নারীর অংশগ্রহণ ৭৫ শতাংশ। কৃষিসহ সব কাজে নারীরা আছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পোশাকশিল্পসহ নারীদের অংশগ্রহণ এখন সব জায়গায়।
প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, নারীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করবে এমনই স্বপ্নই ছিল লুনা শামসুদ্দোহার। আমাদের ১৫ শতাংশ নারী আইসিটি খাতে কাজ করছেন। সামনে এই হার আমরা ৩০ শতাংশে নিয়ে যাব।
বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউয়ার্ড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট ল’ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালক ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম নারী চেয়ারম্যান হিসেবে জনতা ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালকও ছিলেন। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
৭৪% মনে করে ‘মন্দ’ মেয়ে ‘মন্দ’ ছেলের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক
April 11, 2022
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন ডি-নেটের ইনোভেশন অ্যাডভাইজার সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি দেখার হারও বেড়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৮টি বিভাগের ১৬টি জেলায় ৫১৮ জন ব্যক্তির (পুরুষ ৫৩ শতাংশ) কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মেয়েদের ভালো হতে উৎসাহী করা ও মন্দ বিষয়ে বাধা দেওয়া ও তাদের নিরাপদে রাখা পুরুষের দায়িত্ব এটা মনে করেন শতকরা ৮০ ভাগ উত্তরদাতা। এর মধ্যে নারী উত্তরদাতা ছিলেন ৩৫ শতাংশ।
শতকরা ৫২ জন মানুষ মনে করেন মেয়েদের গণমাধ্যম, চলচ্চিত্রে কাজ করা, পুরুষের সঙ্গে রাতের শিফটে কাজ করা বা পুরুষের সঙ্গে দূরে কোথাও ভ্রমণ বা কাজে যাওয়া ঠিক নয়। এমন ধারণা পোষণকারীদের শতকরা ২১ জন নারী ও ৩১ জন পুরুষ এবং উত্তরদাতাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
শতকরা ৮১ জন উত্তরদাতা মনে করেন, মেয়েরা খোলামেলা পোশাক পরলে, অশালীন আচরণ করলে, খারাপ ভাষা ব্যবহার করলে, স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও মেলামেশা করলে, সেই মেয়েদের নানাভাবে হেয় ও তাদের প্রতি অপমানজনক আচরণ করা যায়। এর মধ্যে শতকরা ৩৯ জন নারী ও ৪২ জন পুরুষ।
পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে
ডি-নেটের ইনোভেশন অ্যাডভাইজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্নোগ্রাফি দেখার হার বাড়ার ফলে সমাজে মেয়েদের প্রতি সহিংসতাও বেড়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরদাতাদের ৮২ ভাগ মানুষই বলেছেন, তাঁরা মনে করেন সহিংসতা বেড়েছে। নারীর প্রতি অবমাননাকর আধেয় কিশোর, যুবক ও পুরুষ নিয়মিত দেখে বলে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৮১ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন।
গবেষণা প্রতিবেদন এটাও বলছে যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কিছু মেয়ে বা নারী ছেলে বা পুরুষদের প্রলুব্ধ করছে। পশ্চিমা বিশ্বে মানুষ যৌন প্রয়োজনে পর্নোগ্রাফি দেখলেও বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ নারীকে অসম্মান, নিন্দা ও নির্যাতন করার জন্য পর্নোগ্রাফি দেখছে। অনলাইনে নারীর অবমাননাকর যে চিত্র দেখানো হয়, তা সমাজে প্রচলিত মন্দ মেয়ের ধারণাকে আরও শক্তিশালী করে। পর্নোগ্রাফি দেখার হার বাড়ায় মানুষের মধ্যে অনিরাপত্তাবোধ তৈরি হচ্ছে, ছেলেমেয়ে বিশেষ করে নিজের ছেলে এগুলো দেখে বিগড়ে যাবে কি না, এ চিন্তা মাথায় আসে বেশির ভাগ মানুষের।
পর্নোগ্রাফির গতিপ্রকৃতি ও গভীরতা বোঝা, মানুষ কেন নারী সম্পর্কে নেট দুনিয়াতে যেসব অবমাননাকর আধেয় প্রচারিত হচ্ছে তা কেন দেখছে বা গ্রহণ করছে, পর্নোগ্রাফি দেখার পর এবং নারীর সম্পর্কে অবমাননাকর আধেয় জানার পর মানুষ কীভাবে নারীর প্রতি আচরণ করে বা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হয়, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির সহজ প্রবেশগম্যতা এবং নারীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য বা আধেয়ের সঙ্গে মেয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতার কী সম্পর্ক, তা বিশ্লেষণ করার জন্য এই গবেষণাটি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ করেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। নারীকে সম্মান করা, মূল্যবোধের বিষয়টি শিশুকে পরিবার থেকেই শেখাতে হবে।
বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, পর্নোগ্রাফি দেখে কেউ সহিংসতা করেছে তা আইনের মাধ্যমে প্রমাণ করা কঠিন। স্বামী পর্নোগ্রাফি দেখে স্ত্রীকে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ করলেও তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, সমাজে ধর্ষণ বেড়েছে, একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারী বিচার পাচ্ছেন না, ধর্ষকেরাও পার পেয়ে যাচ্ছে।
সাইকোলজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর রেহনুমা ই জান্নাত বলেন, পর্নোগ্রাফি দেখে মানুষ এমনকি শিশুরাও অন্যদের সঙ্গেও একই ধরনের আচরণ করতে চায়। মূল্যবোধের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ইত্যাদি বিষয়েও জীবনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্ব দিতে হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যান্য তথ্য
যারা নায়িকাদের মতো যৌন আবেদনময়ী আচরণ অথবা পশ্চিমা সংস্কৃতির পোশাক পরে ও আচরণ করে বা টিকটক, লাইকি ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনলাইনে ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে, তারাই মন্দ মেয়ের তকমা পেয়েছে। অন্যদিকে যারা ধর্মীয় নিয়ম মানে, তারা ভালো মেয়ে, এটা মনে করেন শতকরা ৬৬ জন।
ধর্ষণের শিকার বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় যে মেয়ে ও নারীরা, এতে তাদের নিজেদেরও দোষ আছে, এটা ভাবেন শতকরা ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা। শতকরা ৭৩ জন মনে করেন যে একটি মেয়ের জীবন তখনই সফল হয়, যখন একটি উপযুক্ত ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শতকরা ৬৩ জন মনে করেন মেয়েদের বেশি স্বাধীনতা দিলে তারা পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে এবং শতকরা ৫৮ জন মনে করেন মেয়েরা প্রায়ই ছেলেদের নির্দোষ আচরণকেও নির্যাতন মনে করে।
Dnet, where workers can be mothers and more
April 12, 2022
Recently Dnet won the BASIS Luna Shamsuddoha Award for having the highest women employment by male-female ratio in Dhaka.
At present, around 42% of its staff are women
When Elma Hoque Shorna found out she was pregnant, she immediately thought of letting her office know; not because of maternity leave issues as one would expect, but simply because she wanted to share the good news with her colleagues.
Her office, Dnet, is one of the reasons why she is a relaxed mother-to-be, she knows this is a place that will make her pregnancy journey smoother.
“My colleagues remind me to eat on time when I forget and they are as excited about the baby as I am,” said Elma, Assistant Manager, Programme at Dnet, the happiness evident in her voice.
Founded in 2001, Dnet is a social enterprise that designs innovative product and service solutions for women, children, youth and senior citizens in rural and urban settings to create social impact and for institutions to enhance capacity and productivity.
The organisation works on promoting innovative and sustainable solutions integrating social enterprise models, which impact marginalised lives in Bangladesh and beyond.
Recently, Dnet won the BASIS Luna Shamsuddoha Award for having the highest women employment by male-female ratio. The award honours and recognises female entrepreneurs and professionals in the workplace and their contribution to society.
At present, around 42% of Dnet’s staff are women. From fresh graduates to experienced specialists, women hold different positions across entry-level to mid-management at the organisation. Currently, more positions are opening up at the senior management level.
The Executive Director (ED) of Dnet, M Shahadat Hossain shared with The Business Standard how the organisation looks forward to reaching a 50:50 ratio in terms of female and male employees and having a higher number of women in senior management.
Strong internship programmes, timely promotions and more positions for women at the top combined with careful screening and recruitment and zero-tolerance against harassment ensure the working environment remains gender-balanced, women-friendly and healthy.
“When you have a lot of female employees working, it is only normal that some will get married, some will have children. We believe a pregnant employee adds to the ‘happiness factor’ in our office,” he shared with us.
He explained how everyone around an expectant mother shares her joy and gets involved in the pregnancy journey. Her concerns become their concerns and her happiness, theirs.
On Dnet’s recruitment policy, Shahadat Hossain said, “We do not just recruit female employees, we try to hire qualified women. From interns to software engineers to doctors, we have experts at every level working for us.”
He added there is absolutely no gender bias within the organisation and there is a strong internship programme to help young women prepare for jobs at Dnet and elsewhere.
With multiple projects running across Bangladesh, female employers are often required to go for field visits outside Dhaka. Dnet ensures their safety and security at any cost, it is one of their top priorities.
“Our workers are allowed to take babies and their nanny to field visits. They can even take their spouse if needed. We provide accommodation accordingly,” the ED informed us.
Manager, Digital Marketing and Communication, Growth and Impact, Israt Jahan is another expectant mother at Dnet who has been working here for little more than a year. Like Elma, she is also not stressed about maternity leave or where to keep the baby when she would be working.
There is a daycare centre in the building where both mothers and their children can rest. Parents are also allowed to bring in attendants or caregivers. Moreover, there is an in-house doctor for regular consultation as well as in an emergency.
“I know I will be able to balance the baby and my work because of the comfort and confidence my office will give me,” said Israt.
We had the opportunity to have more conversations with employers at Dnet, all of whom shared their contentment about being a part of the organisation.
Head of Health and Nutrition Programme Dr Nilufar Parveen has more than 21 years of work experience. She joined Dnet a few months ago but has already gelled well with her colleagues.
She said, “After joining here, my son asked me, Maa, are you happy with your new job? He wanted to confirm I was!” adding, “this familiar environment is the beauty of this organisation.”
Lamiyah Daraksha, Manager, Tech Solutions and Innovation, has been working at Dnet for three years. She also went on stage and received the Luna Shamsuddoha Award on behalf of everyone.
About her experience, she said, “It made me prouder that not only Dnet, others were also recognising our achievements and appreciating us,” adding, “during the award-giving ceremony, I also wanted to thank the male community as well for supporting us and easing our journey.”
The kind of work Dnet does involves different combinations of research, technology and innovation and it is challenging as well as rewarding.
As a social enterprise, it works with marginalised people, ensuring their rights and much more. Here, a woman’s perspective and involvement are vital, believes the ED.
He added, “Dnet has carefully built an inclusive environment and we take measures to ensure our female employers feel comfortable.” He said there is always a dialogue going on between the management and the workers for smooth communication.
“All of our staff members are phenomenal, both female and male,” he said, appreciating all the employees.
While putting an end to our discussion, he shared the story of one Dnet employee and her dedication to work. “She asked for only three days of holiday for her wedding because she wanted to submit a project proposal on time. She said she would not miss the deadline at any cost.”