‘সরকারি সেবার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন করতে হবে’ - Dnet

‘সরকারি সেবার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন করতে হবে’

May 27, 2024

“প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি সেবার মান বাড়ছে।”

ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক- ডিনেট এর আয়োজনে ঢাকায় গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকরা।

টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সরকারি সেবার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের ‘ক্ষমতায়নের’ ওপর জোর দেওয়া হয়েছে একটি গোলটেবিল আলোচনায়।

তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক- ডিনেট এর আয়োজনে সোমবার ঢাকায় এ গোলটেবিলের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স’।

বৈঠকে ডিনেটের করা এক গবেষণার তথ্য দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরা হয়। নিম্ন আয়ের নারীদের ডিজিটাল সেবা নিতে যেসব অসুবিধায় পড়তে হয়, সেসব তথ্য উঠে এসেছে সেখানে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স-২০২২ অনুযায়ী ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১১তম।

প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি সেবার মান বাড়ছে, সে তথ্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়ন করতে হবে।

এতে বলা হয়, ই-গভর্ন্যান্স হল ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথাগত সরকারি সেবা দেওয়ার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে দক্ষতা, জবাবদিহিতা, এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানো।

এর ফলে গতিময় প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সেবার মান উন্নত করা এবং দ্রুত সেবা দেওয়ার মনোভাবও তৈরি হয়। সহজলভ্য এবং কার্যকর সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে জনগণও উৎসাহ পায়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন বলেন, “ই-গভর্ন্যান্স সরকারের বিভিন্ন তথ্যে সাধারণের প্রবেশগম্যতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দক্ষতা, কার্যকারিতা এবং অন্তর্ভুক্তি বাড়ায়। এর মূল লক্ষ্য হল নাগরিকদের স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত এবং জবাবদিহিমূলক পরিষেবা সরবরাহ করা।”

আইসিটি এবং সরকার পরিচালনা মিলেই ই-গভর্ন্যান্স তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারি সেবা প্রদানের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশও বিভিন্ন ই-গভর্নমেন্ট প্রকল্পে কাজ করছে বলে জানান শাহাদাত।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেছে এবং দুটি সমীক্ষায় উচ্চ র‍্যাংক বজায় রেখেছে।

২০১৪ থেকে ২০২২ সাল এই আট বছরে এ সূচকে ৩৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভিশন ২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছতে এখনও অনেক পথ বাকি।

গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সাদিক হাসান। অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ কৌশলগত পরিকল্পনা-২০৪১ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।

গোলটেবিল আলোচনায় জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকার প্রতিনিধি কুরোকামি মিনামি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব সেক্টর (গর্ভন্যান্স) এনরিকো লরেনজন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফানি ফার্মাকি, ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের বাণিজ্য উপদেষ্টা বায়েজিদ সাঈদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) সহযোগী অধ্যাপক এম মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ সফটওয়্যার শিল্প-সমিতি বেসিসর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বিএসিসিও) সহসভাপতি তানভীর ইব্রাহিমও অংশ নেন।

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

২৭ মে  ২০২৪ , ১১ঃ৩৬